বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সবকিছুর আগে বাংলাদেশ – তারেক রহমান চাঁদপুরে অনিয়মের দায়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ মেম্বার বরখাস্ত রাজধানীর বংশালে ভাড়া বাসা থেকে স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১২ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদ নবায়ন সেচ্ছাসেবক দলের সদর থানার সম্মেলন জুলহাস কে জামায়াত নেতারা হামলা করে,আমি সিটি করপোরেশন থেকে দোকান ভাড়া নিয়েছি, আমার দোকান তারা ভাংচুর করে। বললেন মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা। মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপক পরিচালক মাসুদুজ্জামান মাসুদ সহ বিএনপির তৃনমুল নেতাকর্মীরা বিস্তারিত ভিডিও তে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আড়াইহাজার উপজেলার মাটি ও মানুষের নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ ভাই। ডা. জুবাইদা রহমানের বক্তব্য | জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন বিজ্ঞান মেলা ২০২৫

বাংলাদেশে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির রেকর্ড

নাগরিক খবর অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২
  • ৩৬৭ বার পঠিত

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এ মুহূর্তে বিশ্বে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের। বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে। কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, পেঁপেতে ১৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। নিত্যনতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে। ২০ বছর আগে আম আর কাঁঠাল ছিল এই দেশের প্রধান ফল। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে, যা আগে হতো ৫৬ প্রজাতির ফল চাষ।

সোমবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় ফল মেলা-২০২২’ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় কৃষিসচিব সায়েদুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-০৯ সালে দেশে ফলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন, আর বর্তমানে ফলের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টন। বিগত ১২ বছরে ফলের উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ২২ শতাংশ। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু দানাজাতীয় শস্য গ্রহণের পরিমাণ কমেছে। মাথাপিছু ফল গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৬ সালে মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার ছিল ৫৫ গ্রাম যা বেড়ে এখন হয়েছে ৮৫ গ্রাম।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকার এখন সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ফল ও ফলদ বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের পুষ্টিচাহিদা পূরণে ফলের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি করতে হবে তেমনি নিরাপদ ফল চাষে গুরুত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রী জানান, গত ২ বছর করোনা মহামারির কারণে জাতীয় ফল মেলা করা সম্ভব হয় নি। এ বছর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চত্বরে আগামী ১৬ জুন থেকে জাতীয় ফল মেলা শুরু হবে। মেলা চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বর্তমানে একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ফলের চাহিদা ২০০ গ্রামের বিপরীতে প্রাপ্যতা হলো ৮৫ গ্রাম। সেজন্য ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশসম্মত নিরাপদ ফল উৎপাদনেও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা দেশে চাষোপযোগী ৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির ফলের ৬৫টি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। দেশীয় ফলের সঙ্গে স্ট্রবেরি, রাম্বুটান, ড্রাগন ফল, অ্যাভোকেডো প্রভৃতি বিদেশি ফলের চাষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশের পাহাড়ি অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের অনেক জায়গায় কাজুবাদাম ও কফি চাষের সম্প্রসারণ হচ্ছে। বি‌ট্রি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com